পেকুয়ায় স্বামীকে পিঠিয়ে স্ত্রীর শ্লীনতাহানী ও শিশু সন্তানকে হত্যা চেষ্টা

Tweet

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রভাবশালী ব্যাক্তির ভাড়াটে অস্ত্রধারীরা এক সৌদি প্রবাসীকে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ সময় তারা স্বামীকে রাস্তায় ফেলে স্ত্রীকে শ্লীনতাহানীর চেষ্টাও চালায়। এ সময় স্ত্রীকে প্রথমে অজ্ঞাতস্থানে পরে একটি বাড়িতে আটকিয়ে রেখে ধর্ষন চেষ্টার জন্য টানা হেচড়াসহ ওই দম্পতির কোলের শিশু আট মাস বয়সের নীহাকেও তুলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নদীর ধারে ফেলে দেয়। এ সময় ওই দম্পতির আতœচিৎকারে এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসলে হত্যা ও ধর্ষন থেকে রক্ষা পেলেও ওই সন্ত্রাসীরা প্রবাসীর স্ত্রীর কাপড় ধরে টানা হেচড়া ও শ্লীনতাহানীর চেষ্টা চালায়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে অবরুদ্ধ অবস্থায় ওই বাড়ি থেকে গ্রাম পুলিশরা তাদেরকে প্রায় ৩ঘন্টা পর মুমূর্ষবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাতিজা আরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ১৫জানুয়ারী পেকুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধিত) ৯ (৪) (খ) এর ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-০৭/১৪ ইং। ওই মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া এলাকার ছৈয়দ নুরের পুত্র একাধিক মামলার আসামী রমজান আলী। এছাড়া একই এলাকার মৃত নুরুল হকের পুত্র মুস্তাফিজ, মোঃ শফির পুত্র ওসমান গনি, দানু মিয়ার পুত্র শহিদ উল্যাহ, ছৈয়দ নুরের পুত্র মোক্তার,তার ভাই দানু মিয়া, মৃত নুরুল হকের পুত্র মাহমদ কবির, তার ভাই মোঃ ছবি, মোঃ শরিফ ছাড়াও উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচুড়া আতর আলী পাড়া এলাকার মৃত আতর আলীর পুত্র আমির উল্যাহকেও আসামী করা হয়েছে।
দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারী দুপুরে উজানটিয়া ইউনিয়নের আতর আলী পাড়ার মকবুল আহমদের পুত্র সৌদি প্রবাসী রাশেদুল ইসলাম স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও শিশু সন্তান আয়েশা ইয়াসমিন নীহাকে নিয়ে ছিরাদিয়া হয়ে চকরিয়া চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। জেটি ঘাট এলাকায় পৌঁছলে পুর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ওই দূর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে রাশেদকে লোহার রড ও হাতুড়ী দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। স্বামীকে উদ্ধার করতে স্ত্রী সাবিনা এগিয়ে আসলে তারা তাকেও মারধর করে আহত করে। পরে কোলে থাকা আট মাস বয়সী সন্তান নীহাকে তুলে নিয়ে নদীর ধারে ফেলে দেয় ওই দূর্বৃত্তরা। এ সময় ওই দূর্বৃত্তরা আহতদের কাছ থেকে নগদ ২২ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ স্বর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সংঘবদ্ধ লোকজন অস্ত্র ঠেকিয়ে রাশেদকে রাস্তায় ফেলে তার স্ত্রী সাবিনাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় তারা ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষন ও শ্লীনতাহানীর চেষ্টা চালায়। তার আর্তচিৎকারে স্থানীয় গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সুতাচুড়া এলাকা থেকে রাশেদের নিকটাতœীয় ও প্রতিবেশীরা নদী পার হয়ে ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা তাদেরকেও মারধরসহ স্বর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। পরে আহত ও নির্যাতনের শিকার দম্পতি ও শিশু সন্তানকে চৌকিদার উদ্ধার করলেও অন্যান্য আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যান্ত রাশেদের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতালসুত্রে জানা গেছে। পেকুয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলা রেকর্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যহত থাকবে।

Leave a Reply