থাই বিক্ষোভকারীদের ‘জয়’ দাবি

Tweet

Thai win bikkobদৈনন্দিন ডেস্ক:
থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের পতনের আন্দোলনে ‘জয়’ দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা।
রাজধানী ব্যাংককে পুলিশ মঙ্গলবার সহিসংতা ঠেকাতে ব্যারিকেড তুলে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরকারি সদরদপ্তরগুলোতে ঢুকতে দিলে তারা এ জয় দাবি করে। পুলিশ ব্যারিকেড তুলে না নিলে বহু মানুষ হতাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। ব্যারিকেড উঠে যাওয়ায় বিক্ষোভকারীরা বিনা বাধায় উৎসবের আমেজে হৈ-হুল্লোড় করে সরকারি ভবনের গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে।
বিভিন্ন সরকারি ভবন দখল করে তারা। বাদ যায়নি প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা এবং ক্ষমতাসীন পুয়ে থাই পার্টির কার্যালয় প্রাঙ্গণ গভমেন্ট হাউজও। এ হাউজের সামনের লনে থাই পতাকা ওড়ায় বিক্ষোভকারীরা।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভকারীরা নিরেট ব্যারিকেড ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকতে চেষ্টা করে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান এবং টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত অবাধে সেখানে ঢুকতে পেরে তারা ‘জনগণের জয় হয়েছে’ বলে স্লোগান দেয়। তারা পুলিশের সঙ্গে করমর্দন করে তাদেরকে জড়িয়ে ধরে এবং গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। সরকারি ভবনে প্রবেশের এক ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে চলে যায় এবং এরপর আবার গেট বন্ধ করে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’।
ব্যাংককের সরকারি ভবন ছাড়াও পুলিশ সদর দপ্তরেরও বিক্ষোভকারীদেরকে এদিন ঢুকতে দেয় পুলিশ। সরকার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়ার পর তাদেরকে ওই অনুমতি দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগ এবং তার সরকারের পতনের দাবিতে বিরোধীদল এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ইংলাক তার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার কথায় দেশ পরিচালনা করছেন অভিযোগে বিক্ষোভকারীরা তার পদত্যাগ দাবি করছে। থাই উপপ্রধানমন্ত্রী পংথেপ থেপকানচানা বলেছেন, “সরকার এখনো সচল। তবে পুলিশকে পিছু হটতে বলা হয়েছে। আমরা দেখছি বিক্ষোভকারীরা কেবল প্রতীকী পদওক্ষেপ হিসাবে এই স্থানগুলো দখল করতে চাইছে। সুতরাং আমরাও আপোস করতে চাইছি”।
থাইল্যান্ডে ১০ দিনের বিক্ষোভের পর এখন একটি বিরতি হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। আর পুলিশের পদক্ষেপকেও নতুন কোনো সহিংসতা ঠেকানোর চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিক্ষোভকারীদের নেতা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারই অঙ্গীকার করেছেন।

Leave a Reply