বিশ্বকাপ ফুটবলে ‘ডেঙ্গু’ সতর্কতা

Tweet

Denguস্পোর্টস ডেস্ক:
মাঠে বসে বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা উপভোগ করতে যেসব ফুটবলভক্ত ব্রাজিলে যাবেন তাদের ডেঙ্গু জ্বরের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সিমন হেই বলেন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ যেগুলো মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় সেগুলো আগামী গ্রীষ্মে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনকারী ব্রাজিলের ১২ শহরের অন্তত তিনটি শহরে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ডেঙ্গুর কোনো টিকা বা ওষুধ নেই। তাই মশার কামড় এড়িয়ে চলাই এই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় বলে জানান তিনি।
ডেঙ্গুর কারণে প্রচন্ড জ্বর হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এই রোগটি এমন এক ধরণের মশার মাধ্যমে ছড়ায় যেগুলো মূলত শহর ও নগরে জন্মায় বলে বিবিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়। প্রফেসর হেই ও তার দল ব্রাজিলের যেসব শহরে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সেসব শহরে ডেঙ্গু হওয়ার প্রবণতা ও এর মৌসুম নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, দেশটির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের শহর ফোরতালেজা, নাতাল ও সালভাদোরে যে সময়ে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ওই সময়ে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি থাকবে।
দ্য জার্নাল নেচার এ প্রফেসর হেই লেখেন, “বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনকারী কয়েকটি এলাকায় ডেঙ্গু জ্বর দু:শ্চিন্তা করার মতো সমস্যায় পরিণত হতে পারে। এজন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।“ “ডেঙ্গুর ঝুঁকি নিয়ে কথা বলার জন্য ফিফা, ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষ ও বিশ্বকাপের পৃষ্ঠপোষকদের অবশ্যই তাদের প্রভাব ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করা উচিত।“ ৬ ডিসেম্বর ড্রয়ের মাধ্যমে জানা যাবে কোথায়, কখন, কোন গ্রুপের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বব্যাপী ১০০টিরও বেশি দেশ ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, ব্রাজিলও তাদের একটি। তবে প্রফেসর হেই স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন কাউকে ব্রাজিলে গিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগ করা থেকে নিরস্ত করতে তিনি চান না। “আমার উদ্দেশ্য অসাবধানী দর্শকদের ঝুঁকি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা যাতে তারা নিজেদের রক্ষা করার ব্যবস্থা নিতে পারেন।“
ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য তিনি দর্শকদের এমন বসবাসের স্থান পছন্দ করতে বলেছেন যেখানে দরজা-জানালা বন্ধ রাখা যায় এবং কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।
সেই সঙ্গে বিশেষ করে ভোরে ও বিকালে যখন মশা কামড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায় তখন হাত-পা ঢাকা পোশাক পরিধানের পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে স্টেডিয়ামের চারধারের মশা কমানোর ব্যবস্থাসহ মশার জন্মগ্রহণ চক্র বাধাগ্রস্ত করার কথাও বলেন প্রফেসর হাই।
“দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ব্রাজিল বেশ ভালো ভাবেই কাজ করছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধকারী দল মশা জন্মানোর স্থান খুঁজে বের করছে এবং মশার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে।“

Leave a Reply