স্মার্টফোনের সুরক্ষায় ৮টি টিপস

Tweet

Smart Phoneপ্রযুক্তি ডেস্ক:
আজ থেকে ১২ বছর আগে, তথ্যপ্রযুক্তির সেই ব্রিটিশ আমলের দিকে আমার ফোনটা ছিলো কেবলই ফোন। ছিনতাই হয়ে যাওয়া ছাড়া আর ভয়ের কিছুই ছিলো না। কিন্তু দিন বদলেছে। এখন সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন, সুপার স্মার্ট আইফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড ব্ল্যাকবেরি বা নকিয়ার সিম্বিয়ান ফোন, যা দিয়ে অনেক কিছু করা যায়, কিন্তু তার সাথে সাথে এই ফোনের কারণে আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারও বেজেছে বারোটা!

কেনো মোবাইল ফোনের সুরক্ষা দরকার?
কারণটা খুব সহজ – আমাদের ভার্চুয়াল আর বাস্তব জীবন, দুইই এখন তথ্য প্রযুক্তির ওপরে নির্ভরশীল। আর আপনার ফোনে যে পরিমাণ তথ্য আছে, তা যদি কারো হাতে পড়ে, তাহলে সেই সাইবার ক্রিমিনাল আপনার ভার্চুয়াল জীবনটা দখল করে নিতে পারে অনায়াসে। ফেসবুক জিমেইল থেকে শুরু করে সবকিছু দখল করে নিয়ে আপনার জীবনের বারোটা নয়, বরং তেরোটা বাজাতেও পারে।
এই ঘোর কলিকালে কীভাবে নিজের ফোন সুরক্ষিত রাখাবেন সাইবার ক্রিমিনালদের হাত থেকে?
এ বিষয়ে সম্প্রতি দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার থেকে কিছু অংশ এখানে তুলে দিচ্ছি। আশা করি সবার তা কাজে লাগবে।
০১. পিন লক সেট করুন। সবচেয়ে সহজ পরামর্শ এটিই। ফোনে একটা ‘পিন লক’ সেট করে রাখুন। কাজটা খুব সহজ, কিন্তু মাত্র ৬০ ভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী এটি করেন। পিন সেট করা থাকলে ফোন চুরি হলেও সহজে সেটি আনলক করে তথ্য চুরি করা যাবে না।
০২. পাবলিক ওপেন ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকা অবস্থায় ফেসবুক, জিমেইল বা ব্যাংকিং জাতীয় কাজ না করাই ভালো। এসব নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি অত্যন্ত দুর্বল বা আদৌ নেই।
০৩. ফোন করে যদি কেউ এ রকম বলেন, ‘আমি আপনার ব্যাংক থেকে বলছি, ক্রেডিট কার্ডে সমস্যা আছে, আপনার নম্বরটা বলুন তো’, এ সব বিশ্বাস করবেন না। এটি খুব সহজ একটা প্রতারণার কৌশল। বরং ফোন কেটে দিয়ে আপনার ব্যাংকের পরিচিত নম্বরে ফোন করুন। এমনকি ইনকামিং ফোনের নম্বর চিনলেও বিশ্বাস করেবেন না। ভুয়া ইনকামিং কলার আইডি বানিয়ে ব্যাংকের বা পরিচিত কারো ফোন সেজে ক্রিমিনালরা ফোন করতে পারে।
০৪. স্মার্টফোনে ফেসবুকে বা ইমেইলে স্থায়ীভাবে লগইন করে রাখবেন না। কারণ ফোনটা একবার বেহাত হলেই সর্বনাশ! কষ্ট হলেও বার বার লগইন করুন। কাজ শেষে লগআউট করে দিন।
০৫. ফোন স্লো হয়ে গেছে? দ্রুত ব্যাটারি খরচ হয়ে যাচ্ছে? অনেক সময়ে ফোনে ম্যালওয়ার/ভাইরাস আক্রমণ করলে তারা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে, ফলে স্লো হয়ে যায় ফোন কিংবা তারা ব্যাটারির চার্জ দ্রুত খেয়ে ফেলে।
০৬. আপনার দরকারি ও গোপনীয় কাগজপত্রের কপি ফোনে না রাখাই ভালো।
০৭. ফোন ট্র্যাকিং সফটওয়ার ইনস্টল করে রাখুন। এতে করে ফোনটা হারালেও ট্র্যাক করতে পারবেন। আবার অনেক এরকম সফটওয়ারে রিমোট ওয়াইপিং করা যায়, ফলে ফোন হারালেও  ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোপন তথ্যগুলা ডিলিট করে দিতে পারেন।
০৮. অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার সময় খেয়াল রাখুন কোথা থেকে ইনস্টল করছেন, সেটি কি আসলেই গুগল বা অ্যাপেলের অ্যাপস্টোর নাকি নকল কোনো সাইট, যা ক্রিমিনালেরা বানিয়ে টোপ ফেলেছে?
ওপরের পরামর্শগুলা আসলে সামান্যই, স্মার্টফোনে সতর্ক থাকতে হলে আরো অনেক কিছুই করা দরকার, তবে আমার বিশ্বাস, ওই আটটি টিপস মেনে চললে দুর্বৃত্তের আক্রমণ থেকে অন্তত ৯০ ভাগ নিজের ফোন ও নিজের তথ্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। – See more at:

Leave a Reply